শ্রীরূদ্র উবাচ
ত্বং হি ব্রহ্ম পরং জ্যোতির্গূঢ়ং ব্রহ্মণি বাঙ্ময়ে ৷
যং পশ্যন্তমলাত্মান আকাশমিব কেবলম্ ৷৷
(শ্রীমদ্ভাগবদ মহাপুরাণ ১০৷৬৩৷৩৪)
—“[হে পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ!] বেদে দুর্বোধ্য শব্দের দ্বারা যাঁর বর্ণনা করা হয়েছে, যিনি জ্যোতিস্বরুপ এবং আকাশের ন্যায় সকল দোষ হতে অস্পৃষ্ট ও স্বাশ্রয়, তুমিই সেই পরমব্রহ্ম ৷ শুদ্ধচিত্ত সাধকগণ তোমাকে দর্শন করেন ৷”
দেবদত্তমিমং লব্ধা নৃলোকমজিতেন্দ্রিয়ঃ ৷
যো নাদ্রিয়েত ত্বৎপাদৌ স শোচ্যো হ্যাত্মবঞ্চকঃ ৷৷
(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ ১০৷৬৩৷৪১)
—“[হে ভগবান!] যে অজিতেন্দ্রিয় ব্যক্তি তোমার দেওয়া এই মনুষ্যদেহ লাভ করে তোমার চরণযুগল সমাদরে সেবা না করে, সে আত্মবঞ্চক ও অনুশোচনার পাত্র ৷”
অহং ব্রহ্মাথ বিবুধা মুনয়শ্চামলাশয়াঃ ৷
সর্বাত্মনা প্রপন্নাস্ত্বামাত্মানং শ্রেষ্ঠমীশ্বরম্ ৷৷
তং ত্বা জগৎস্থিত্যুদয়ান্তহেতুং
সমং প্রশান্তং সুহৃদাত্মদৈবম্ ৷
অনন্যমেকং জগদাত্মকেতুং
ভবাপবর্গায় ভজাম দেবম্ ৷৷
(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ ১০৷৬৩৷৪৩-৪৪)
—“[হে ভগবান!] আমি (শিব), ব্রহ্মা, দেবগণ ও শুদ্ধচিত্ত মুনিগণ সর্বোতভাবে প্রিয়তম পরমাত্মা ঈশ্বর তোমার শরণাগত হই ৷ হে দেব! তুমি জগতের সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের হেতু, সম স্বভাব অতএব প্রশান্তস্বরুপ, সুহৃৎ, সমানাধিকশূণ্য ও জগদাত্মার আধার ৷ হে আরাধ্যদেব, আমরা তোমাকে সংসার মুক্তির জন্য ভজনা করি ৷”
______________________
সত্ত্বে চ তস্মিন্ ভগবান্ বাসুদেবো
হ্যধোক্ষজো মে নমসা বিধীয়তে ৷৷
(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ ৪৷৩৷২৪)
মহাদেব সতীদেবীর নিকট বলিতেছেন—“সেই শুদ্ধ চিত্তের অন্তর্বাসী ভগবান বাসুদেবকেই আমি প্রণামাদি নিবেদন করি ৷”
রুদ্র উবাচ
যঃ পরঃ রহসঃ সাক্ষাৎ ত্রিগুণাজ্জীবসংজ্ঞিতৎ।
ভগবদন্তং বাসুদেবং প্রপন্নঃ স প্রিয়ো হি মে।।
(শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ ৪৷২৪৷২৮)
শ্রীরূদ্রদেব বলিলেন, “যে ব্যক্তি প্রকৃতি ও পুরূষের নিয়ন্তা গুহ্যাদপি গুহ্যস্বরূপ ভগবান বাসুদেবের শ্রীচরণে অনন্যভাবে শরণাগত হন তিনিই আমার প্রিয় ৷”
যৎপাদপঙ্কজরজঃ শিরসা বিভর্ত্তি -
শ্রীরজজঃ সগিরিশঃ সহ লৌকপালৈঃ ৷
(শ্রীমদ্ভাগবদ মহাপুরাণ ১০৷৫৮৷৩৮)
অর্থ— লক্ষীদেবী, মহাদেব ও ব্রহ্মা সহ সকল লোকপাল দেবতাগণ শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণকমলের রেণু মস্তকে ধারণ করে থাকেন ৷
//ওঁ শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু//
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন