মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭

ন তস্য প্রতিমা অস্তি - প্রকৃত অর্থ বিশ্লেষণ

দয়ানন্দ মতবাদ খন্ডন : পর্ব-৩


‘ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদযশঃ’ ৷
(শুক্লযজুর্বেদ ৩২৷৩)

বেদের এই মন্ত্রাংশটুকু তুলে ধরে আর্যসমাজের স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (ও মুসলিমগণ) দাবি করে যে মূর্তিপূজা বেদ বিরোধী ৷ আসুন বিবেচনা করা যাক তার এই দাবি কতটুকু যুক্তিসংগত ৷

প্রথমতঃ অভিধানে ‘প্রতিমা’ শব্দের দুই প্রকার অর্থ পাওয়া যায় ৷ যথা—
১)  মূর্তি, বিগ্রহ, ভাস্কর্য 
২) তুল্য করা, পরিমাণ করা, সাদৃশ্য

এখন আমরা দেখব এই দুই প্রকার অর্থের মধ্যে কোনটি উক্ত মন্ত্রের অর্থ নির্ণয়ে যুক্তিযুক্ত ৷
(১) নং অর্থ গ্রহণ করলে উক্ত মন্ত্রের অর্থ দাড়ায়, ‘তাঁহার মূর্তি বা বিগ্রহ নাই যাঁহার নামে মহৎ যশ ৷’
একটু বিবেচনা করলেই বোঝা যাবে যে এই অর্থ মোটেই সংগত নয় ৷ কারণ মূর্তি কল্পনাই যদি যশস্বীদের যশের হানি করত তবে যতসব রাজ-মহারাজ, লাট, পন্ডিত, এমনকি স্বামী দয়ানন্দেরও যে মূর্তি তৈরী আছে তা দুষ্কৃতির স্তম্ভ বলেই বিবেচিত হতো ৷ জগতে যশস্বী ব্যক্তিগণেরই মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরী করে রাখা হয়, হীন ব্যক্তির নয় ৷
(২) নং অর্থ অনুসারে, ‘তাঁহার তুলনা বা সাদৃশ্য নাই যাঁহার নামে মহৎ যশ ৷’
একথাই কি যশস্বীকে বলা শোভা পায় না যে ‘আপনার তুল্য আর কেহ নাই’ ? কোন কথাতে যশস্বী খুশি হবেন তা আপনারা স্বয়ং বিচার করে দেখুন ৷

এখন উক্ত মন্ত্রের কয়েকটি ভাষ্যব্যাখ্যা, অনুবাদ দেখুন-

ন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদযশঃ ৷
হিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষ যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ৷৷
[ শুক্ল-যজুর্বেদ ৩২৷৩ ]  

মহীধরভাষ্য: “তস্য” পুরুষস্য “প্রতিমা” প্রতিমানমুপমানং কি়ঞ্চিদ্বস্তু নাস্তি ... ৷ অর্থাৎ মহীধর এখানে প্রতিমা বলতে প্রতিমান উপমান বুঝিয়েছেন, মূর্তি বুঝাননি ৷

মিশ্রভাষ্য: (তস্য) সেই পুরুষের (প্রতিমা) প্রতিমান উপমান সদৃশ উপমা দেওয়ার যোগ্য কোনো বস্তু (ন, অস্তি) নাই ; (যস্য) যার (নাম) নাম প্রসিদ্ধ (মহৎ) বড় (যশঃ) যশ আছে অর্থাৎ সর্বাধিক তাঁর যশ ৷ এই বেদের “হিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ” [২৫৷১০-১৩] “মা মা হিংসীদিত্যেষ” [১২৷১০২] এবং “যস্মান্ন জাত ইত্যেষা” [৮৷৩৬,৩৭] ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা তাঁকেই বর্ণনা করা হয়েছে ৷
“আধুনিক অল্পজ্ঞ ব্যক্তিগণ এই মন্ত্রে প্রতিমা অর্থ মূর্তি ধরে বলে যে, ঈশ্বরের কোন মূর্তি নেই আর মূর্তিপূজা উচিত নয় ৷”
      —পণ্ডিত শ্রীজ্বালাপ্রসাদ মিশ্র

✔বেদার্থপারিজাত ভাষ্যের সম্পাদক পণ্ডিত ব্রজবল্লভদ্বিবেদী দর্শনাচার্য প্রদত্ত মন্ত্রার্থ:—
সেই মহানারায়ণ পুরুষের কোন উপমান নেই অর্থাৎ তাঁর সহিত বরাবরী করতে পারে এমন কেউ নেই ৷ তাঁর নাম মহান যশ প্রদায়ক, এ বিষয়ে এই বেদই প্রমাণ ৷ যেমন- “হিরণ্যগর্ভঃ” (২৫৷১০), “মা মা হিংসীৎ” (১২৷১০২), “যস্নান্ন জাতঃ” (৮৷৩৬) ইত্যাদি শ্রুতি তাঁর মহান যশের বর্ণনা করে ৷

✔শ্রীপাদ দমোদার সাতবলেকর লিখেছেন:—
“তার কোন প্রতি-মা নেই এই কথা বলা তাৎপর্য এই যে তার বরাবর শক্তিশালী কেউ নেই৷” (যজুর্বেদকা সুবোধ ভাষ্য, পৃষ্ঠা ৫৪৩)

✔শ্রীবিজনবিহারী গোস্বামী কৃত বঙ্গানুবাদ:—
এ পুরুষের তুলনা দেবার কোন বস্তু নেই ৷ তার মহৎ যশ আছে ৷ ‘হিরণ্যগর্ভ’ ইত্যাদি, ‘আমাকে হিংসা করো না’ ইত্যাদি, ‘যা থেকে ইন্দ্র প্রভৃতি জাত, তিনি সম্রাট’ ইত্যাদি বাক্যে সে পুরুষকে বলা হয়েছে ৷


(যজুর্বেদ, শ্রীবিজনবিহারী গোস্বামী)


চতুর্ব্বেদ ভাষ্যকার শ্রীদূর্গাদাস লাহিড়ী শর্ম্মণ একস্থানে লিখেছেন— “পাশ্চাত্য-শিক্ষিত অনেকে, পাশ্চাত্য দর্শন-বিজ্ঞানের যুক্তিজাল বিন্যস্ত করিয়া, আমাদের প্রতিমা-পূজা প্রভৃতিকে নিষ্ফল হেয় প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পান ৷ কিন্তু সে তাহাদের বিষম ভ্রান্তি ৷ কেননা, ঐ প্রতিমা-পূজার মধ্য দিয়াই প্রতিমার যিনি লক্ষ্যস্থল, তাঁহার নিকট পৌছানো যায় ৷ সমুদ্র যে কি, তাহা কখনও দেখি নাই; অথবা সমুদ্র যে কি, তাহা জানি না; কিন্তু যদি আমি জানি, এই নদীতেই সমুদ্রের রূপকণা আছে, আর এই নদীস্রোতের অনুগমন করিলেই সমুদ্রে উপনীত হওয়া যায়; তাহাতে, তদনুরূপ কর্মের ফলে, সমুদ্র-দর্শন বা সমুদ্রে মিলন আমার পক্ষে সম্ভবপর হইয়া আসে না কি? এজন্যই বলিতে হয়— যাহার যে পথ নির্দিষ্ট আছে, তিনি সেই পথ দিয়াই অগ্রসর হইতে আরম্ভ করুন, অগ্রসর হইতে হইতেই কেন্দ্রস্থানে উপনীত হইতে পারিবেন ৷”
(সামবেদ সংহিতা, প্রথম ৩৪২ সাম দ্রষ্টব্য)

দয়ানন্দের জ্ঞানের ন্যূনতা

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব আর্য-সমাজ প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী সম্পর্কে তার শিষ্যবর্গকে বলেছিলেন,

“সিঁতির বাগানে দেখতে গিয়েছিলাম; দেখলাম—একটু শক্তি হয়েছে; বুকটা সর্বদা লাল হয়ে রয়েচে; বৈখরী অবস্থা— দিনরাত চব্বিশ ঘন্টাই কথা (শাস্ত্রকথা) কচ্চে, ব্যাকরণ লাগিয়ে অনেক কথার (শাস্ত্রবাক্যের) মানে সব উল্টো-পাল্টা করতে লাগল; নিজে একটা কিছু করবো, একটা মত চালাব—এ অহংকার ভেতরে রয়েচে!”
(তথ্যসূত্র : শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ, ৪র্থ খণ্ডের ২য় অধ্যায়, প্রসঙ্গ- গুরুভাব ও নানা সাধুসম্প্রদায়। ৯ম সংস্করণে পৃষ্ঠা- ১০৫)

অপরদিকে আর্যসমাজের স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী যখন শ্রীরামকৃষ্ণকে দেখলেন তখন তিনি নিজের জ্ঞানের ন্যূনতা অনুভব করে আক্ষেপ করে বললেন, “আমরা অনেক বেদ-বেদান্ত কেবল পড়েছি, কিন্তু এই মহৎ মানুষের মধ্যে তার প্রকাশ দেখতে পাচ্ছি ৷ এঁনাকে দেখে প্রমাণ হলো যে আমার মতো পন্ডিতেরা শাস্ত্র মন্থন করে কেবল ঘোলটাই খান, কিন্তু এঁনার মতো মহাপুরুষেরা মাখনটা খান ৷”
(শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত ১৷১৩৷৫)


ভাবতে অবাক লাগে যে, দয়ানন্দ তার ক্ষুদ্র জ্ঞান নিয়ে মূর্তিপূজার বিরোধীতা করেছেন, বলেছেন যে মূর্তিপূজা বেদ-বিরোধী ৷ অথচ তিনি যাঁর মধ্যে সমগ্র বেদ-বেদান্তের প্রকাশ দেখতে পেয়েছেন সেই শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছেনঃ—
“মাটির প্রতিমাকে ভগবান ভেবে পূজা করা যদি ভুলই হয়ে থাকে তো যিনি এই বিশ্বব্রহ্মান্ড চালাচ্ছেন, তিনি কি এইটুকু জানেন না যে এই পূজার লক্ষ্য তিনি ৷ ভগবান এই বিভিন্ন রকমের পূজার প্রচলন করেছেন ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির লোকদের উপযোগী হবে বলে ৷ মা যেমন জানেন তাঁর কোন্ ছেলের কোন্ খাদ্য উপযোগী, ঠিক তেমনি ভগবান জানেন—কার পক্ষে কোনটি উপযুক্ত পথ ৷ তাই তাঁকে চিন্তা করবার এই ভিন্ন ভিন্ন সাধন পদ্ধতি তিনি নিজেই সৃষ্টি করেছেন ৷”
(শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-প্রসঙ্গ, ১ম ভাগ, পৃঃ ৫০)


ব্রহ্ম প্রতিমা



রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব
             তদস্য রূপং প্রতিচক্ষণায় ৷
ইন্দ্রো মায়াভিঃ পুরুরূপ ঈয়তে
           যুক্তা হস্য হরয়াঃ শতা দশ ৷৷ঋগ্বেদ ৬.৪৭.১৮৷৷
অনুবাদঃ “রুপে রুপে প্রতিরুপ (তাহার অনুরুপ) হইয়াছেন, সেই ইহার রুপকে প্রতিখ্যাপনের (জ্ঞাপনের) জন্য ৷ ইন্দ্র মায়াসমূহের দ্বারা বহুরুপ প্রাপ্ত হন ৷ যুক্ত আছে ইহার অশ্ব শত দশ (অর্থাৎ সহস্র) ৷”


অগ্নির্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
“অগ্নি যেমন এক হয়েও ভুবনের মধ্যে প্রবেশ করে রুপে রুপে বহুরুপ হয়ে আপনাকে ধরে দিয়েছে, তেমনি সর্বভূতের অন্তরস্থ অন্তরাত্মা এক হয়েও বাহির অবধি ভিন্ন ভিন্ন রুপ গ্রহণ করেছে ৷” (কঠঃ ২৷২৷৯)
.
বায়ুর্যথৈকো ভুবনং প্রবিষ্টো রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷
একস্তথা সর্বভূতান্তরাত্মা রূপং রূপং প্রতিরূপো বহিশ্চ৷৷
“বায়ু যেমন এক হয়েও ভুবনের মধ্যে প্রবেশ করে রুপে রুপে বহুরুপ হয়ে আপনাকে ধরে দিয়েছে, তেমনি সর্বভূতের অন্তরস্থ অন্তরাত্মা এক হয়েও বাহির অবধি ভিন্ন ভিন্ন রুপ গ্রহণ করেছে ৷” (কঠঃ ২৷২৷১০)
.
“রূপং রূপং প্রতিরূপো বভুব৷ অয়মত্মা ব্রহ্ম সর্ব্বানুভূঃ৷”
অর্থাৎ তিনি প্রতি বস্তুর রুপ ধারণ করিয়াছেন ৷ এই আত্মাই ব্রহ্ম ৷ তিনি সর্ব্বগত ৷ (বৃহদারণ্যক, ২৷৫৷১৯)
.
একো বশী সর্বভূতান্তরাত্মা একং রূপং বহুধা যঃ করোতি৷
“একক নিয়ন্তা হয়েও এই সর্বভূতের অন্তরাত্মা একই রুপকে বহুধা করে চলেছে ৷” (কঠঃ ২৷২৷১২)
.
“যো বিশ্বস্য প্রতিমানং বভুব” (ঋগ্বেদ ২৷১২৷৯)
অর্থাৎ—তিনি নিখিলের প্রতিমা হইয়াছিলেন ৷


সুতরাং দেখা যাচ্ছে, ন তস্য প্রতিমা অস্তি অর্থাৎ ঈশ্বরের তুল্য কেহ না থাকলেও, ঈশ্বর কিন্তু সকলের তুল্য হইতে পারেন, যেকোন রুপ পরিগ্রহ করতে পারেন ৷ তাই ভক্ত-সাধক ঈশ্বরকে যে-প্রতিমাতেই পূজা করুক না কেন, তিনি সেই মূর্তিরূপেই ভক্তকে দেখা দিবেন ৷
“বায়ু যেমন পার্থিব পঙ্কজাদির গন্ধ, রেণুর বর্ণ ধারণ করিয়া নানাগন্ধ ও রুপবিশিষ্ট হয়, তেমনি সর্বদেহের অন্তর্যামী পরমাত্মা শ্রীভগবান উপাসকের বাসনা অনুযায়ী তাদের সম্মুখে আবির্ভূত হন, সেই পরমেশ্বরই আমার মনোরথ পূর্ণ করুন, অন্য দেবতা আশ্রয়ের প্রয়োজন কি?” (শ্রীমদ্ভাগবত ৬৷৪৷৩৪)
.
নমস্তে দেবদেবেশ! শঙ্খচক্রগদাধর ৷
ভক্তেচ্ছোপাত্তরুপায়­ পরমাত্মন্! নমোহস্তু তে ৷৷
নমঃ পঙ্কজনাভায় নমঃ পঙ্কজমালিনে ৷
নমঃ পঙ্কজনেত্রায় নমস্তে পঙ্কজাঙ্ঘ্রয়ে ৷৷
— “হে দেবদেব, হে সর্বেশ্বর, শঙ্খ-চক্র-গদাধারী আপনাকে নমস্কার ! হে পরমাত্মা, আপনি ভক্তগণের ইচ্ছানুরুপ রুপ ধারণ করিয়া থাকেন, আপনাকে নমস্কার ৷ পদ্মনাভ আপনাকে নমস্কার, পদ্মমালাধারী আপনাকে নমস্কার, কমল-নয়ন আপনাকে নমস্কার, কমল-চরণ আপনাকে নমস্কার ৷” (শ্রীমদ্ভাগবত ১০৷৫৯৷২৫-২৬)


আরো পড়ুন- 1) প্রতিমাপূজার শাস্ত্রীয় প্রমাণ
2) ন তস্য প্রতিমা অস্তি 




৯টি মন্তব্য:

  1. পরমাত্মা'অবাঙমানসগোচর' তাই মনের দ্বারা তার বর্ণনা করা যুক্তিযুক্ত নয়..এরম একটা জিনিসকে বর্ণনা করতে দৈতবাদ,অদৈতবাদ,অর্ধ দৈতবাদ আরো কত কত মতামত এর সৃষ্টি হয়েছে...যা 'অস্তি নাস্তি রোহিত অস্তি' তার রূপ আছে কি নেই ,গুন আছে কি নে,ই মূর্তি কাছে না নিরাকার এইসব তর্ক স্থূল শাস্ত্র আলোচনার বিষয়..এটি তাকে লাভ করার উপায় নয় বা এতে তাকে পাওয়াও যায় না বলেই সব মহাপুরুষের মন্তব্য

    উত্তরমুছুন
  2. এসব বিষয় নিয়ে আমরা ইউটিউবে কাজ করছি, ঘুরে আসুন আমাদের চ্যনেল থেকে ভাল লাগবেই গ্যরান্টি, ভাল লাগলে সাবস্ক্রাইব করে রাখতে ভুলবেন না।
    https://www.youtube.com/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%B6

    উত্তরমুছুন
  3. দয়ানন্দ সরস্বতী দেহত্যাগ করেন ১৮৮৩ সালে । আর রামকৃষ্ণ দেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ১৮৮৪ সালে । অতএব রামকৃষ্ণ মিশন তাদের গ্রন্থে যে ভুয়ো তথ্য গজিয়েছেন সেটা বলাই বাহুল্য । আর এখানে পোস্ট দাতাও অন্ধ , কারন সে যাচাই না করেই তথ্য দিয়েছে

    উত্তরমুছুন
  4. যিনি পোস্ট দিয়েছেন তার প্রতি আমার বক্তব্য।
    ভাই/দাদা আপনার কথাও যদি মানি তাহলে দাড়াচ্ছে যে তার মানে ব্রক্ষ্মের কোন সাদৃশ্য নেই বা তুলনা নেই।তাই তো!
    আর আপনারা ব্রক্ষ্মের তুলনা করতেছেন পুতুল দিয়ে মানে মূর্তি দিয়ে।যাকে কেউ চক্ষুর দ্বারা প্রত্যক্ষ করতে পারে না যাকে কেউ অবলোকন করে নি তারই আপনারা মাটি দিয়ে অবয়ব তৈরি করতেছেন।আর সবচেয়ে বড় কথা হল আপনি যে অবয়ব তৈরি করতেছেন সেটা কি আদৌ তার অবয়ব,নাকি অন্য কারো।
    মূর্তি বানিয়ে তাকে পূজা না করে আপনারা অন্য আরেকজন কে পূজা করছেন এই সহজ জিনিসটা মাথায় ঢুকলো না!
    আপনি যদি সঠিক চেহারা নাই দিতে পারেন তাহলে আপনার নিজের মূর্তিই তো বানায় ফেলতে পারেন।ভেবে দেখবেন হে আন্দোলন কারী!

    উত্তরমুছুন
  5. আর বৈষ্ণব দের একটা উক্তি হল যে স্বয়ং বিষ্ণু কৃষ্ণরূপে জন্ম নিয়েছেন। ভালো কথা তাহলে আমাকে বলুন তো যখন দ্রৌপদী যখন জিজ্ঞাসা করেছিল -হে মধুসূদন আমার যখন বস্ত্রহরণ হয় তখন আপনি আসতে দেরি করেছিলেন কেন? উত্তর কি আসলো যে সে অন্য যুদ্ধে ব্যস্ত ছিল।এখান থেকে কি বোঝা যায় যে তার ক্ষমতা সীমিত, পদার্থের নীতি অনুসারে একটা বস্তু একসাথে দুই স্থানে থাকতে পারে না। তার মানে তিনি একজন সাধারণ মানুষ।যদি ঈশ্বর হত তাহলে একই সাথে যুদ্ধেও থাকতেন এবং দ্রৌপদীরে অপমানের হাত থেকে বাচাতেও পারতেন কারণ হিন্দুরা মনে করে যে ঈশ্বর সব জায়গায় আছেন।তাহলে এই জিনিসটা তার জন্য সহজ হত।
    আর বৈষ্ণব রা কেন অন্য দেবদেবীর পূজাতে যায় আমাকে একটু বলবেন?আমার মহল্লায় কিছু বৈষ্ণব আছে তারা দূর্গা পূজায় অংশ নেয় কেন?
    যেখানে গীতায় বলা আছে কোন দেব দেবী ফল স্থির করতে পারে না তাই অন্য দেব দেবীদের পূজা অমূলক।

    উত্তরমুছুন
  6. আচ্ছা কৃষ্ণ তো পুরুষ নাকি স্ত্রী?
    বেদে বলছে ঈশ্বরের কোন লিংগ নেই
    আবার এও বলছে ঈশ্বরের কোন পিতামাতা নেই তাহলে প্রমাণ করেন কৃষ্ণের লিংগ নাই তার মাতা পিতা নাই।
    বরং সে পুরুষ এটাই সত্য।তার একটা মা না দুই দুইটা মা দুই দুইটা বাবা(জন্মদানকারী আর পালক)এটার কি উত্তর দিবেন হে বৈষ্ণব আন্দোলন?

    উত্তরমুছুন
  7. এই যুক্তিতে আমরা বিশ্বাসী না।
    জড়-কামনা দারা যাদের মন আচ্ছাদিত হয়েছে তারাই বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি পূজা করেন। এবং তাদের ওই পূজার ফল ও ক্ষনস্থায়ী হয়। সময় থাকতে এক ইশ্বর এর উপাসনা করুন ও মূর্তি পূজা বন্ধ করুন।
    সর্বে ভবন্ত সুখিনঃ
    ঔ শান্তি শান্তি শান্তি

    উত্তরমুছুন

সাম্প্রতিক পোস্ট

পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা

 পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা ======================= যোগেনাত্মা সৃষ্টিবিধৌ দ্বিধারূপো বভূব সঃ ৷ পুমাংশ্চ দক্ষিণার্ধাঙ্গো বামাঙ্গঃ প্রকৃতিঃস্...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ