গীতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গীতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

গীতা প্রক্ষিপ্তবাদ নিবারণ (পিডিএফ ফাইল সহ)



গীতা কি প্রক্ষিপ্ত?
=============
আজকাল কতিপয় অপপ্রচারকারী ধূর্তগণকে এই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে যে, সাতশত শ্লোকযুক্ত যে সপ্তশতী গীতা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও প্রচারিত সেই গীতা নাকি প্রকৃত গীতা নয়!!! উহা প্রক্ষিপ্ত! প্রকৃত গীতা মূলত সত্তরটি শ্লোকযুক্ত, যাকে উক্ত দুষ্কৃতকারীরা প্রাচীন গীতা নাম দিয়ে প্রচার করছে ৷ তাদের তথ্যমতে— ভারত মহাসাগর অন্তর্গত যবদ্বীপে প্রথমে হিন্দু রাজ্য ছিল, 1478 খ্রিস্টাব্দে যখন যবদ্বীপে মুসলিম রাজ্য স্থাপিত হয় ৷ তখন যবদ্বীপের বাহুরাহু নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বহু শত শাস্ত্র গ্রন্থ সাথে নিয়ে আত্মরক্ষার্থে বালিদ্বীপে এসেছিলেন। সেই ব্রাহ্মণের আনিত মহাভারতের ভীষ্পর্ব অন্তগর্ত এক গীতা পাওয়া গেছে যাতে মাত্র ৭০টি শ্লোক ছিল ৷ তাই বর্তমানে প্রচারিত ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রক্ষিপ্ত ৷
এই দাবিটি সম্পূর্ণ অমূলক ৷ প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হলে যবদ্বীপের ইতিহাসটা একবার জানা প্রয়োজন ৷ যবদ্বীপ —যার বর্তমান নাম জাভাদ্বীপ, এই জাভাদ্বীপবাসীরা প্রথমে হিন্দু ছিল, মধ্যে অনেকে বৌদ্ধ হয়েছিল এবং ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম আক্রমণের পর বহু সংখ্যক মুসলিম হয়েছিল ৷ প্রাথমিক অবস্থায় তারা যখন হিন্দু ছিল তখন তাদের মহাভারতে সম্পূর্ণ ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা অবশ্যই ছিল, তারপর তারা যখন মুসলিম হয় তখন গীতা হতে বিভিন্ন অংশ নিষ্কাশিত হয় ৷ মুসলমানদের মতে ঈশ্বরের মূর্ত্তি নাই, কিন্তু ভগবদগীতা বক্তা শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর, তিনি নিজেই একথা গীতাতে ঘোষণা করেছেন এবং বিশ্বরূপ দেখিয়ে তা প্রমাণিতও করেছেন, আবার পার্থসারথিমূর্ত্তিতে সকলের দৃষ্টিগোচরও হয়েছেন ৷ এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের নিকট গীতার বিভিন্ন অংশ যে বিরক্তির হবে তাতে সন্দেহ কি? এজন্য তারা গীতার বিভিন্ন অংশ ছেঁটে ফেলতে আরম্ভ করেছিল ৷ তাপর যখন কোন ব্রাহ্মণ ধর্মগ্রন্থাদি নিয়ে জাভাদ্বীপ হতে বালিদ্বীপে পালিয়ে আসে তখন তার নিকটস্থ গীতাতে কেবল ৭০টি শ্লোকমাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ কারণ ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দের পূর্ব হতেই সমগ্র ভারতবর্ষে সম্পূর্ণ ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রচারিত ছিল, তার প্রমাণ রামানুজাচার্য ও মধ্বাচার্যের গীতা ভাষ্য ৷ যদি আদি হতেই মহাভারতে গীতা সত্তর শ্লোকযুক্ত হতো তবে শ্রীরামানুজাচার্য (১০১৭-১১৩৭ খ্রিঃ)  সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতার ওপর ভাষ্য লিখলেন কিভাবে? এছাড়া শ্রীমধ্বাচার্য (১২৩৮-১৩১৭ খ্রিঃ) সাতশত শ্লোকময়ী গীতার ওপর ‘গীতাভাষ্য’ ও ‘গীতা তাৎপর্য নির্ণয়’ নামক দুটি গ্রন্থ লেখেন ৷ অতএব, জাভাদ্বীপবাসী হিন্দুদের নিকট মহাভারত অন্তর্গত যে সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতা ছিল তা ১৪৭৪ খ্রিষ্টাব্দের পর মুসলমানদের হস্তক্ষেপের ফলে বহু শ্লোক নিষ্কাশিত হয়ে সত্তরটি শ্লোক মাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ কিন্তু মূর্খেরা উল্টো বুঝে পবিত্র শ্রীমদভগবদ্গীতাকে প্রক্ষিপ্ত বলে প্রচার করছে ৷


হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ভট্টাচার্য্য লিখিত ‘ভগবদ্গীতাসম্বন্দে প্রক্ষিপ্তবাদের প্রতিবাদ’ নামক একটি প্রবন্ধ পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হলো ৷ সকলে ডাউনলোড করে পড়ুন ও প্রক্ষিপ্তবাদীদের দাবির অমূলকতা দর্শন করুন ৷—
Pdf Download Link : ( Click here! )


৷৷ ওঁ হরিঃ ওঁ ৷৷


সাম্প্রতিক পোস্ট

পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা

 পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা ======================= যোগেনাত্মা সৃষ্টিবিধৌ দ্বিধারূপো বভূব সঃ ৷ পুমাংশ্চ দক্ষিণার্ধাঙ্গো বামাঙ্গঃ প্রকৃতিঃস্...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ