হরেকৃষ্ণ মাহানাম মন্ত্রটি প্রথমত পাওয়া যায় কৃষ্ণযজুর্বেদীয় কলি-সন্তরণ উপনিষদে ৷ সেখানে এইভাবে আছে—
“হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ৷
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ৷৷”
এই উপনিষদে বলা হয়েছে যে, এই ষোল নাম (words) তথা বত্রিশ অক্ষর জপের মাধ্যমে কলির প্রভাব হতে মুক্ত হয়ে মোক্ষলাভ করা সম্ভব ৷
.
এরপর, রাধা-তন্ত্রে (২/৯) মহানাম মন্ত্রটি এইভাবে আছে—
“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ৷
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ৷৷”
.
বৃহন্নারদীয় পুরাণে (৩/৮/১২৬) বলা হয়েছে—
হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্ ।
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা ।।
অর্থ— হরিনাম হরিনাম হরিনাম কেবল, কলিযুগে ইহা বিনা গতি নাই নাই নাই ৷
.
মহাভারতে (শান্তিপর্ব ২০৪/৭৭) ভীষ্মদেব রাজা যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিয়েছেন—
“ভজস্বৈনং বিশালাক্ষং জপন্ কৃষ্ণেতি সত্তম ৷৷”
অর্থাৎ—তুমি কৃষ্ণনাম জপ করিতে থাকিয়া এই বিশালনয়ন কৃষ্ণের সেবা করো৷
(মহাভারত, হরিদাশ সিদ্ধান্তবাগীশ) |
.
শ্রীভগবান গীতায় (৯/১৪) বলেছেন—
সততং কীর্তয়ন্তো মাং যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ।
নমস্যন্তশ্চ মাং ভক্ত্যা নিত্যযুক্তা উপাসতে।।
“তাঁহারা (সাত্ত্বিকী প্রকৃতি-প্রাপ্ত মহাত্মগণ) যত্নশীল ও দৃঢ়ব্রত হইয়া ভক্তিপূর্বক সর্বদা আমার কীর্তন এবং বন্দনা করিয়া নিত্য সমাহিত চিত্তে আমার উপাসনা করেন ।”
৷৷ ওঁ শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু ৷৷
Hare krishna
উত্তরমুছুন