যাহোক না কেন, বস্তুত দয়ানন্দ সরস্বতী, রাজা রামমোহন রায়, হযরত মুহাম্মদ প্রভৃতি যত ছিরুই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সনাতনধর্ম থেকে প্রতিমা পূজার উচ্ছেদ কেউ কোনদিন করতে পারবে না ৷
এখন আসি মূল প্রসঙ্গে ৷ উপর্যুক্ত ব্যাখ্যা ছাড়াও ঐ শ্রুতিবাক্যের একটি বিস্ময়কর ব্যাখ্যা পেয়েছি, সেটিই বলব ৷ সাধারণ প্রচলিত ব্যাখ্যাগুলোতে “ন” আর “তস্য” শব্দ দুটিকে দুটি ভিন্ন পদ মানা হয় ৷ কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাখ্যাটি যিনি দিয়েছেন, তাঁর নাম বলতে আমি অনিচ্ছুক, তিনি মনে করেন “ন” আর “তস্য” দুটি ভিন্ন পদ নয়; মূলত এখানে একটি পদ, অর্থাৎ এরূপ “নতস্য” ৷ এখানে ‘নত’ শব্দের সাথে ষষ্ঠী বিভক্তি প্রয়োগে ‘নতস্য’ হয়েছে ৷
তাহলে “নতস্য প্রতিমা অস্তি” এর অর্থ হচ্ছে--
নতস্য= ‘নত’ এর অর্থাৎ নতজানু ; প্রতিমা= মূর্তি ; অস্তি= আছে ৷ পরমেশ্বর রাম-কৃষ্ণ প্রভৃতি রূপে শিশুকালে নতজানু হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে লীলা করেছেন, সেই নতজানু হামাগুড়িরূপে পরমেশ্বরের প্রতিমা জগতে বিদ্যমান রয়েছে --এই অর্থ ৷
ব্যাখ্যাটি আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ৷ আপনাদের কেমন লাগল, মতামত জানান ৷ ধন্যবাদ ৷
//ওঁ শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু //
✍️(যজুর্বেদ ৩২/৩)
উত্তরমুছুনন তস্য প্রতিমা অস্তি যস্য নাম মহদ্ যশঃ।
হিরণ্যগর্ভ ইত্যেষ মা মা হিংসীদিত্যেষা যস্মান্ন জাত ইত্যেষঃ।।
✍️এখানে যে প্রতিমা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে তা সংস্কৃত শব্দ প্রতিম এর সাথে 'আ' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে। প্রতিম শব্দের অর্থ তুল্য বা সমতুল্য। আর অপ্রতিম অর্থ অসমতুল্য।
✍️অর্থাৎ- পরমাত্মা ওঁ ই হিরণ্যগর্ভ তার সমতুল্য কেউ নেই।
����কিন্তু কখনো এই মন্ত্রে প্রতিমা শব্দের মানে এটা নয় যে ঈশ্বরের কোনো প্রতিমা নেই। এটা এর মানে নয়।
কারণ জ্ঞানীগণ পরমাত্মা ওঁ কে বিভিন্ন নামে গুনে অভিহিত করে থাকে।
✍️ঋগ্বেদ ১/১৬৪/৪৬
একং সদ্ বিপ্রা বহুধা বদন্তে।।
~জ্ঞানীগণ একই ঈশ্বরকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে।এই পরমাত্মাই শিব,দূর্গা, কালি,লক্ষী,স্বরসতী,বিষ্ণু,ব্রহ্মা, গণেশ...