শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮

শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের নিরাকারবোধক শ্রুতির তাৎপর্য বিশ্লেষণ


শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ (৩/১৭, ১৯) এর অযৌক্তিক অনুবাদ তুলে ধরে নিরাকারবাদী দয়ানন্দপ্রিয় মূর্খগুলো দেখি একটা তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, উক্ত শ্লোকদ্বয়ের যথার্থ তাৎপর্য না বুঝেই তারা আনন্দে এই ঢেকুর তুলে, আসলে মন্ত্রটি তে কি বুঝানো হয়েছে? আসুন তার সন্ধান করি.....
তাদের উপস্থিত অনুবাদ ৷—
“তিনি নিখিল ইন্দ্রিয়ের গুণবিশিষ্ট- রুপে প্রতিভাত হন, অথচ তিনি সমুদয় ইন্দ্রিয়ব্যাপার-শূন্য।” (৩/১৭) এবং “তাহার হস্তপদ না থাকিলেও তিনি দ্রুত গমন করেন এবং সর্ববস্তু গ্রহণ করেন, চক্ষু না থাকিলেও দর্শন করেন, কর্ণ না থাকিলেও শ্রবণ করেন।” (৩/১৯)
যেহেতু কারণ বিনা কার্য্য হয় না, তাই গমন, গ্রহণ, দর্শন, শ্রবণ ইত্যাদি কার্য্য আছে, কিন্তু এই কার্য্যের কারণরূপ ইন্দ্রিয় নাই —এ বড় হাস্যকর কথা ৷ এইকথাগুলো এরুপ যে— দয়ানন্দজীর মাতা বন্ধ্যা ছিল, কিন্তু দয়ানন্দ জন্মিল অর্থাৎ তিনি বন্ধ্যাপুত্র ; গর্তে সাপ ছিলনা, কিন্তু বাহির হয়ে আসিল... ইত্যাদি ৷ এইরুপ অযৌক্তিক প্রলাপ কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না ৷ অতএব এই শ্রুতির উদ্দেশ্যে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব যাহা বলিয়াছেন তাহাই প্রণিধানযোগ্য, তিনি বলেছেন—
‘অপাণিপাদ শ্রুতি বর্জে প্রাকৃত পাণিচরণ ৷’
অর্থাৎ এই শ্রুতি কেবল প্রাকৃত হস্ত-পদাদিই বর্জন করেছে, তাঁর অপ্রাকৃত হস্ত-পদাদি আছে, তা না থাকলে গমন-দর্শন-শ্রবণাদি আদৌ সম্ভব হতো না ৷
.
উক্ত শ্লোকদ্বয়ের শ্রীশ্যামলাল গোস্বামী কৃত অনুবাদ দেখুন ৷—
সর্ব্বেন্দ্রিয়গুণাভাসং সর্ব্বেন্দ্রিয়বিবর্জ্জিতম্ ৷
সর্ব্বস্য প্রভুমীশানং সর্ব্বস্য শরণং সুহৃৎ।।
➢ শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ ৩৷১৭
শ্রীভগবানের শরীর অপ্রাকৃত, অতএব উহার প্রত্যেক অবয়বে (সর্ব্বেন্দ্রিয়গুণাভাসং) সকল ইন্দ্রিয়ের ধর্ম্মই প্রকাশ পাইয়া থাকে ৷ (সর্ব্বেন্দ্রিয়বিবর্জ্জিতম্) তাঁহার প্রাকৃত কোন ইন্দ্রিয়ই নাই ৷ (সর্ব্বস্য প্রভুমীশানং) তিনি সকলের প্রভু ও নিয়ন্তা; (সর্ব্বস্য শরণং সুহৃৎ) তিনি সকলের সুহৃৎ ও আশ্রয় ৷
.
অপাণিপাদো জবনো গ্রহীতা
          পশ্যত্যচক্ষুঃ স শৃণোত্যকর্ণঃ।
স বেত্তি বেদ্যং ন চ তস্যাস্তি বেত্তা
            তমাহুরগ্র্যং পুরুষং মহান্তম্।।
➢ শ্বেতাশ্বতরোপনিষৎ ৩৷১৯
সেই ভগবান্ (অপাণিপাদঃ) প্রাকৃতপাণিপাদরহিত হইয়াও (জবনঃ) গমন ও  (গ্রহীতা) গ্রহণ করিয়া থাকেন ৷ (পশ্যত্যচক্ষুঃ স) তিনি প্রাকৃতনেত্রবর্জ্জিত হইয়াও দর্শন করেন এবং (শৃণোত্যকর্ণঃ) প্রাকৃতকর্ণশূণ্য হইয়াও শ্রবণ করেন ৷ (স বেত্তি বেদ্যং) তিনি জ্ঞেয়মাত্রই জানেন, কিন্তু সকলের সাক্ষী বলিয়া (ন চ তস্যাস্তি বেত্তা) তাঁহাকে কেহই জানিতে পারেন না ৷ (তমাহুরগ্র্যং) ব্রহ্মবিদগণ তাঁহাকে আদি ও (পুরুষং মহান্তম্) মহান পুরুষ বলিয়া থাকেন ৷
.
অধিকন্তু, এই উপনিষদেই পরমেশ্বরের অপ্রাকৃত রূপের বর্ণনা আছে যা কিনা ঐ অত্যন্ত-নিরাকারবাদীদের দৃষ্টিগোচর হয়না, যদি হতো তবে আর আনন্দে ঢেকুর তোলা আসত না ৷—
.
যা তে রুদ্র শিবা তনূরঘোরাহ’পাপকাশিনী ৷
তয়া নস্তনুবা শন্তময়া গিরিশন্তাভিচাকশীহি ৷৷
— “হে রুদ্ররূপধারিন্ পরমেশ্বর, তোমার যে  মঙ্গলময়, সৌম্য, পুণ্যপ্রদ শরীর আছে, হে গিরিশ, সে সুখতম শরীরের দ্বারা আমাদের দিকে তাকাও ৷”
(যজুর্বেদ ১৬/২, শ্বেতাশ্বতর ৩/৫)
.
যামিষুং গিরিশন্ত হস্তে বিভর্ষ্যস্তমে ৷
শিবাং গিরিত্র তাং কুরু মা হিংসীঃ পুরুষং জগৎ ৷৷
— “হে গিরিশ, শত্রুর প্রতি নিক্ষেপের জন্য হস্তে যে বাণ ধারণ করেছ, হে প্রাণিগণের ত্রাতা, তা কল্যাণকর কর, পুরুষ ও জগতের হিংসা করো না ৷”
(যজুর্বেদ ১৬/৩, শ্বেতাশ্বতর ৩/৬)
.
অজাত ইত্যেবং কশ্চিদ্ভীরুঃ প্রতিপদ্যতে।
রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যং।৷
 — “তোমাকে অজাত জেনে কেহ তোমার কাছে আসে আর তার চিত্ত ভয়ব্যাকুল হয় ৷ হে রুদ্র, হে ভীষণ, তোমার সেই যে অন্য হাস্যময় প্রসন্ন মুখমন্ডল, তার মধুর হাসি দিয়ে তুমি আমায় রক্ষা কর সর্বদা ৷” (শ্বেতাশ্বতর ৪/২১)
.
দয়ানন্দ অনুরাগী বালকগুলো নিতান্ত অভক্ত, তাই তারা পরমেশ্বরের রূপ দর্শনের অযোগ্য ৷ যেমন এক ধূর্ত শেয়াল ফাঁদে পড়ে নিজের লেজ হারিয়ে, অন্য শেয়ালদেরও লেজ কাঁটাতে চেয়েছিল; তদ্রুপ এই নিরাকারবাদী ধূর্তগুলো নিজেরা পরমেশ্বরের রূপ দর্শনের অযোগ্য হয়ে, অন্যদেরও অযোগ্য করার মানসে কেবল নিরাকার নিরাকার বলিয়া শৃগালে ন্যায় চিৎকার করিয়া  বেড়ায় ৷ অতএব, সারকথা এই যে— পরমেশ্বের স্বরূপভূত আকার থাকলেও, অভক্তদের তাঁকে দর্শনের যোগ্যতা না থাকায় তাদের কাছে তিনি নিরাকার বলিয়া প্রতিভাত হন ৷৷


ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দামবন্ধন লীলা তাৎপর্য বিশ্লেষণ




গোপাল দধির ভাণ্ড ভাঙিয়াছেন ৷ মা যশোদা ক্রুদ্ধা হইয়াছেন ৷ পলায়নপর গোপালকে ছুটিয়া গিয়া হাত ধরিয়াছেন ৷ তারপর বাঁধিয়া রাখিতে ইচ্ছা করিয়াছেন ৷ রজ্জু দিয়া গোপালের কটিদেশ বন্ধন করিয়া একটি উদূখলের সঙ্গে বাঁধিয়া রাখিতে মা যশোদা মনে মনে ঠিক করিয়াছেন ৷ গৃহ হইতে রজ্জু আনাইয়া বাঁধিতে আরম্ভ করিলেন ৷ গোপাল বারংবার বলিতে লাগিলেন, “মা, আমায় বেঁধো না ৷” মা গোপালের কথা না শুনিয়া বাঁধিতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন ৷ তাঁহার রজ্জুটা কটিবেষ্টন করিতে দুই আঙুল ছোট হইল ৷ মা ঐ রজ্জুর সঙ্গে আর একটা রজ্জু বাঁধিলেন ৷ তারপরও দুই আঙ্গুল ছোট হইল ৷ ঘরে যত বন্ধনযোগ্য দড়ি ছিল— একটার পর একটা একত্র বন্ধন করিয়াও গোপালের কটিদেশ বন্ধন করিতে সক্ষম হইলেন না ৷ প্রত্যেকবারই কম পড়িতে লাগিল ৷ মায়ের জেদ চাপিয়া গেল ৷ পাশের বাড়ীর গোপীদের ঘরে যত দড়ি ছিল চাহিয়া আনাইয়া যোগ করিতে লাগিলেন কিন্তু কি আশ্চর্য! প্রত্যেকবারই একই অবস্থা, দুই আঙ্গুল কম ৷ মা কিছুই বুঝিতে পারিতেছেন না ৷
এখানে দুইটি বিষয় চিন্তনীয় ৷ কোলের শিশু গোপালকে মা বাঁধিতে পারিতেছেন না কেন? আর একটি বিষয় প্রত্যেকবার দুই আঙ্গুল পরিমাণ ছোট কেন?
প্রথমটির উত্তর শুকদেব বলিয়াছেন—
“ন চান্তর্ন বহির্যস্য ন পূর্বং নাপি চাপরম্ ৷
পূর্বাপরং বহিশ্চান্তর্জগতো যো জগচ্চ যঃ ৷৷”
                                                 (ভাগবত, ১০/৯/১৩)
যাহার অন্তর বাহির নাই, অগ্রপশ্চাৎ নাই, যিনি জগন্ময়— মা তাঁহাকে কেবল কোলের শিশু মনে করিয়া বাঁধিতে প্রয়াস পাইতেছেন ৷ শুকদেবের কথার তাৎপর্য এই, গোপাল যখন মায়ের কোলে শিশুটি ঠিক তখনই তিনি বিশ্বব্যাপী ভূমা ৷ তিনি যখন ছোট তখনই বড় ৷ তিনি যুগপৎ সমীম ও অসীমরুপে অবস্থান করেন ৷

আরেকটি প্রশ্ন, প্রতিবার দুই আঙুল পরিমাণ ছোট কেন? এক আঙুল সাধকের সাধন-তপস্যা, আরেক আঙুল ভগবানের কৃপা ৷ প্রথমত সাধক সাধনার দ্বারা ভগবানকে পেতে চাইবেন, কিন্তু সাধন-তপস্যায় একসময় তিনি  মা যশোদার মতো ক্লান্ত হয়ে পড়িবেন, দেখিবেন যে সাধনার দ্বারা ভগবানকে কিছুতেই বাঁধা যাইতেছে না, তখন ভগবান ভক্ত-সাধককে কৃপা করিয়া তিনি নিজেই তার কাছে ধরা দিবেন ৷

নায়মাত্মা প্রবচনেন লভ্যো
            ন মেধয়া ন বহুনা শ্রুতেন ৷
যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্য-
       স্তস্যৈষ আত্মা বিবৃণুতে তনুং স্বাম্ ।। কঠঃ ১৷২৷২৩
—“এই পরমাত্মাকে শাস্ত্র ব্যাখ্যান দ্বারা লাভ করা যায় না, মেধা দ্বারাও নয়, বহু শাস্ত্র শ্রবণের দ্বারাও নয় ৷ যাহাকে এই পরমাত্মা বরণ করিয়া নেন, তাহারই লভ্য, তাহার নিকটেই তিনি মেলে ধরেন আপন তনু ৷”

ইহাই বেদান্তের মর্মকথা!


৷৷ ওঁ শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু ৷৷


শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

গীতা প্রক্ষিপ্তবাদ নিবারণ (পিডিএফ ফাইল সহ)



গীতা কি প্রক্ষিপ্ত?
=============
আজকাল কতিপয় অপপ্রচারকারী ধূর্তগণকে এই কথা বলতে শোনা যাচ্ছে যে, সাতশত শ্লোকযুক্ত যে সপ্তশতী গীতা বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও প্রচারিত সেই গীতা নাকি প্রকৃত গীতা নয়!!! উহা প্রক্ষিপ্ত! প্রকৃত গীতা মূলত সত্তরটি শ্লোকযুক্ত, যাকে উক্ত দুষ্কৃতকারীরা প্রাচীন গীতা নাম দিয়ে প্রচার করছে ৷ তাদের তথ্যমতে— ভারত মহাসাগর অন্তর্গত যবদ্বীপে প্রথমে হিন্দু রাজ্য ছিল, 1478 খ্রিস্টাব্দে যখন যবদ্বীপে মুসলিম রাজ্য স্থাপিত হয় ৷ তখন যবদ্বীপের বাহুরাহু নামক জনৈক ব্রাহ্মণ বহু শত শাস্ত্র গ্রন্থ সাথে নিয়ে আত্মরক্ষার্থে বালিদ্বীপে এসেছিলেন। সেই ব্রাহ্মণের আনিত মহাভারতের ভীষ্পর্ব অন্তগর্ত এক গীতা পাওয়া গেছে যাতে মাত্র ৭০টি শ্লোক ছিল ৷ তাই বর্তমানে প্রচারিত ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রক্ষিপ্ত ৷
এই দাবিটি সম্পূর্ণ অমূলক ৷ প্রকৃত সত্য উদঘাটন করতে হলে যবদ্বীপের ইতিহাসটা একবার জানা প্রয়োজন ৷ যবদ্বীপ —যার বর্তমান নাম জাভাদ্বীপ, এই জাভাদ্বীপবাসীরা প্রথমে হিন্দু ছিল, মধ্যে অনেকে বৌদ্ধ হয়েছিল এবং ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম আক্রমণের পর বহু সংখ্যক মুসলিম হয়েছিল ৷ প্রাথমিক অবস্থায় তারা যখন হিন্দু ছিল তখন তাদের মহাভারতে সম্পূর্ণ ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা অবশ্যই ছিল, তারপর তারা যখন মুসলিম হয় তখন গীতা হতে বিভিন্ন অংশ নিষ্কাশিত হয় ৷ মুসলমানদের মতে ঈশ্বরের মূর্ত্তি নাই, কিন্তু ভগবদগীতা বক্তা শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ঈশ্বর, তিনি নিজেই একথা গীতাতে ঘোষণা করেছেন এবং বিশ্বরূপ দেখিয়ে তা প্রমাণিতও করেছেন, আবার পার্থসারথিমূর্ত্তিতে সকলের দৃষ্টিগোচরও হয়েছেন ৷ এ ক্ষেত্রে মুসলমানদের নিকট গীতার বিভিন্ন অংশ যে বিরক্তির হবে তাতে সন্দেহ কি? এজন্য তারা গীতার বিভিন্ন অংশ ছেঁটে ফেলতে আরম্ভ করেছিল ৷ তাপর যখন কোন ব্রাহ্মণ ধর্মগ্রন্থাদি নিয়ে জাভাদ্বীপ হতে বালিদ্বীপে পালিয়ে আসে তখন তার নিকটস্থ গীতাতে কেবল ৭০টি শ্লোকমাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ কারণ ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দের পূর্ব হতেই সমগ্র ভারতবর্ষে সম্পূর্ণ ৭০০ শ্লোকযুক্ত গীতা প্রচারিত ছিল, তার প্রমাণ রামানুজাচার্য ও মধ্বাচার্যের গীতা ভাষ্য ৷ যদি আদি হতেই মহাভারতে গীতা সত্তর শ্লোকযুক্ত হতো তবে শ্রীরামানুজাচার্য (১০১৭-১১৩৭ খ্রিঃ)  সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতার ওপর ভাষ্য লিখলেন কিভাবে? এছাড়া শ্রীমধ্বাচার্য (১২৩৮-১৩১৭ খ্রিঃ) সাতশত শ্লোকময়ী গীতার ওপর ‘গীতাভাষ্য’ ও ‘গীতা তাৎপর্য নির্ণয়’ নামক দুটি গ্রন্থ লেখেন ৷ অতএব, জাভাদ্বীপবাসী হিন্দুদের নিকট মহাভারত অন্তর্গত যে সাতশত শ্লোকযুক্ত গীতা ছিল তা ১৪৭৪ খ্রিষ্টাব্দের পর মুসলমানদের হস্তক্ষেপের ফলে বহু শ্লোক নিষ্কাশিত হয়ে সত্তরটি শ্লোক মাত্র অবশিষ্ট ছিল ৷ কিন্তু মূর্খেরা উল্টো বুঝে পবিত্র শ্রীমদভগবদ্গীতাকে প্রক্ষিপ্ত বলে প্রচার করছে ৷


হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ ভট্টাচার্য্য লিখিত ‘ভগবদ্গীতাসম্বন্দে প্রক্ষিপ্তবাদের প্রতিবাদ’ নামক একটি প্রবন্ধ পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হলো ৷ সকলে ডাউনলোড করে পড়ুন ও প্রক্ষিপ্তবাদীদের দাবির অমূলকতা দর্শন করুন ৷—
Pdf Download Link : ( Click here! )


৷৷ ওঁ হরিঃ ওঁ ৷৷


সাম্প্রতিক পোস্ট

পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা

 পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা ======================= যোগেনাত্মা সৃষ্টিবিধৌ দ্বিধারূপো বভূব সঃ ৷ পুমাংশ্চ দক্ষিণার্ধাঙ্গো বামাঙ্গঃ প্রকৃতিঃস্...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ