আর্যসমাজ প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী তার ‘সত্যার্থ-প্রকাশ’ নামক সত্যনাশকারী গ্রন্থে শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ সম্পর্কে লিখেছে— “এই ভাগবত বোপদেব রচিত ৷ তাঁহার ভ্রাতা জয়দেব ‘গীতগোবিন্দ’ রচনা করিয়াছিলেন ৷ দেখ! তিনি স্বরচিত ‘হিমাদ্রি’ নামক গ্রন্থে এই মর্ম্মে শ্লোক লিপিবদ্ধ করেছেন— ‘আমি শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ রচনা করিয়াছি’ ৷ সেই লিপির তিন পত্র আমার নিকট ছিল ৷ তন্মেধ্যে এক পত্র হারাইয়া গিয়াছে ৷ সেই পত্রের লিখিত শ্লোকগুলির অভিপ্রায় লইয়া আমি নিম্নলিখিত শ্লোকদুটি রচনা করিয়াছি ৷ যিনি দেখিতে ইচ্ছা করেন, তিনি হিমাদ্রি গ্রন্থ দেখিয়া লইবেন ৷”
হিমাদ্রে সচিবস্যার্থে *******
*** * * * * **** ৷৷ ১
*** * * * * *****
********** শ্রীকৃষ্ণস্য যশোহম্বিতম্ ৷৷ ২
(সত্যার্থ-প্রকাশ, একাদশ সমুল্লাস) |
এইরুপে দুটি নিজের লেখা শ্লোক দিয়ে দয়ানন্দ প্রমাণ করতে চেয়েছে ভাগবত বোপদেপ রচিত!! বলে কিনা, বোপদেব যে শ্লোকে লিখেছে যে, ভাগবত সে রচনা করেছে সেই শ্লোকের লিপিপত্রটি তার কাছ থেকে নষ্ট হয়েগেছে ৷ সেই পত্রটিই কেন নষ্ট হলো, বাকি দুই পত্র নষ্ট হলো না কেন? দয়ানন্দ কতটা মিথ্যাবাদী, শঠ, জোচ্চর ও বেয়াদব তা ধারণার অতীত ৷ মূলত দয়ানন্দের কাছে এমন কোন শ্লোকই ছিলনা যা দ্বারা সে প্রমাণ করতে পারে যে ভাগবত বোপদেবকৃত, তাই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে লিপিপত্রটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই অজুহাত দেখিয়ে ও নিজের সন্তোষজনক দুটি বানোয়াট শ্লোক রচনা করে বলে কিনা ভাগবত বোপদেব রচিত?!! আবার এও বলে যে “যিনি দেখিতে ইচ্ছা করেন, তিনি হিমাদ্রি গ্রন্থ দেখিয়া লইবেন” ; বস্তুত বোপদেব ‘হেমাদ্রি’ নামক কোন গ্রন্থ লিখেছে এমন কোন প্রমাণ নাই ৷ তবে তদানীন্তন রাজ্যের মন্ত্রী হেমাদ্রির অনুরোধে বোপদেব ‘মুক্তাফল’ ও ‘হরিলীলা’ নামক দুটি গ্রন্থ লেখেন ৷ এই গ্রন্থদ্বয় ভাগবতের টীকা বা ভাষ্য হিসেবে পরিগণিত হয় [নিচের স্ক্রীণশর্ট দেখুন] কিন্তু মূর্খ দয়ানন্দ ঐ টীকা-ভাষ্যমূলক গ্রন্থকেই মূল ভাগবত মনে করে ভ্রমে পতিত হয়েছিল অথবা বৈষ্ণবধর্মের প্রতি বিদ্বেষবশত ধূর্ত দয়ানন্দ জেনেশুনে ইচ্ছাপূর্বক মিথ্যা রটিয়েছে ৷
(বৃহন্মুগদ্ধবোধ ব্যাকরণম্ এর ‘বিজ্ঞপ্তি’) |
(বিশ্বকোষ, চতুর্দশ খন্ড, পৃঃ ৪১৬) |
শ্রীভোজদেবপ্রভবস্য বামাদেবীসুতশ্রীজয়দেবকস্য ৷
পরাশরাদিপ্রিয়বন্ধুকণ্ঠে শ্রীগীতগোবিন্দকবিত্বমস্তু ৷৷
অর্থ— শ্রীভোজদেব ও বামাদেবীর পুত্র কবি শ্রীজয়দেব ‘শ্রীগীতগোবিন্দ’ রচনা করিয়া পরাশরাদি প্রিয়বন্ধুকন্ঠে উপহারস্বরুপ অর্পণ করিলেন ৷
এইরুপে দয়ানন্দ সর্বথা মিথ্যাবাদীরুপে প্রমাণিত হলো ৷
বলা বাহুল্য যে, শুধু দয়ানন্দ নয়, আরো অনেক বৈষ্ণবধর্ম বিদ্বেষীই এইরুপ অপপ্রচার রটিয়েছিল ৷ তাদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে রামাশ্রম কৃত ‘দুর্জনমুখচপেটিকা’ নামক একটি গ্রন্থ লিখিত হয় ৷ এই গ্রন্থে ভাগবতের প্রাচীনত্ব প্রতিপাদন করা হয় ৷ বিপক্ষীরা এই গ্রন্থের প্রতিবাদে অপর একটি গ্রন্থ লিখলে উহা খন্ডন করে ‘দুর্জনমুখপদ্মপাদুকা’ রচিত হয়েছিল ৷ সেই গ্রন্থে বিপক্ষবাদীদের প্রতি অত্যন্ত শ্লেষোক্তি করে ভাগবত যে ব্যাসদেব প্রণীত তাহাই প্রমাণ করা হয় ৷ এক্ষণে আমরা দয়ানন্দ মুখচপেটিকা করিলাম ৷
“ভাগবত বোপদেব-প্রণীত একথা বলা আর বন্ধার পুত্র বলা সমান ৷ আমরা গোঁড়ামীর পক্ষপাতী নহি, কতগুলি লেখক কেবল বৈষ্ণবধর্মের প্রতি বিদ্বেষভাব প্রকাশ করিবার জন্য অসার ও অযৌক্তিক তর্ক উত্থাপন করিয়া ভাগবত পুরাণ বোপদেবপ্রণীত বলিতে সাহসী হইয়াছেন ৷”— ডাক্তার শ্রীরামদাস সেন
পাঠকদের সুবিধার্থে ডাক্তার শ্রীরামদাস সেনের ‘বোপদেব ও শ্রীমদ্ভাগবত’ নামক একটি প্রবন্ধ পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হলো --
Pdf Download Link : Click here to Download
গাঞ্জাখোরের জন্য হিন্দুদের এই আবস্থা।
উত্তরমুছুনযোগীরাজ শ্রী কৃষ্ণকে প্রেমিক বানিয়ে ছেড়েছে আপনাদের আষাঢ়ে ভেজাল শাস্ত্র । বেদে ফিরুন , বেদই উৎকৃষ্ঠ অবশিষ্ট সবই মনুষ্য সৃষ্ট,
উত্তরমুছুনস্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীকে যারাই কুকথা বলুন তারা আশা করি বৈষ্ণব শাস্ত্র পড়েছেন। নিজেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাবতে লজ্জা করে কী পরিমান কু কথা যোগীরাজ শ্রী কৃষ্ণ সম্বন্ধে বলেছেন। আবার নিজেদের বৈষ্ণব বলেন। আপনারা শাস্ত্র পড়ুন কাব্য না পড়ে।
hindu der hal er jonno onekei dai.. tar vetor ei boishnab ra prathom
মুছুনআর যাই হোক আপনারা কোনোদিন বৈদিক শাস্র তো দূরে থাক বেদ পড়েছেন কীনা সন্দেহ।
মুছুনআপনারা সরাসরি গ্রন্থ থেকে প্রমান না দিয়ে স্কিনসর্ট বা পিডিএফ দিয়ে লাফালাফি করেন নিজেদের আর্য বলে দাবি করেন এতই যখন আর্য হয়েছেন তাহলে বেদে তো ইন্টারনেট বা ফোন ইউস করার কথা উল্লেখ নেই বনে গিয়ে ব্রম্মের ধ্যান করুন।
আর ভন্ড সরস্বতী স্বামীর করা অপপ্রচার এর বিরুদ্ধের প্রমান গুলো খন্ডন করুন
হিন্দুধর্ম যতদিন স্বার্থান্বেষীদের দ্বারা পরিচালিত না হবে ততদিন পর্যন্ত হিন্দুধর্ম যোগ্যতার মানোত্তীর্ণ হবেনা ।চোর চন্ডাল দুর্বৃত্তরা হিন্দুধর্মের ধারক ও বাহক হয়ে বসে ছিল আছে, যাতে আর না থাকে হিন্দুধর্ম রক্ষা পায় তার ব্যবস্থা আম-হিন্দুদেরই করতে হবে ।
উত্তরমুছুনভাগবত পুরাণ যে বোপদেবের রচনা তার প্রমাণ ভবিষ্য পুরাণের প্রতিসর্গ পর্বে আছে । তাছাড়া পুরো ভাগবত পড়লেই বোঝা যায় যে গাঁজা খেয়ে ভাগবত পুরাণ রচনা করেছিল ।
উত্তরমুছুনতুমি তো দয়ানন্দের মতোই আরেক গাঁজাখোর । রে মূর্খ! ভবিষ্যপুরাণে বোপদেবের হরিলীলামৃত টীকার কথা আছে, যেটা ভাগবত নয়, ভাগবতের টীকা ।
মুছুনআরে মূর্খ তুমি যদি ভবিষ্য পুরাণের প্রতিসর্গ ভালো করে পড়তে তাহলে সেখানে বুঝতে পারতে বোপদেবের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে নারায়ণ তাকে দর্শন দেন। এবং তাকে বেদব্যাস রচিত শ্রীমদ্ভাগবত জ্ঞাণ প্রদান করেন।এবং তাকে ভাগবতের মাহাত্ম্যও নারায়ণ বলেছিলেন।সেই ভাখবতী জ্ঞান পেয়ে বোপদেব হরিলীলামৃত রচনা করেন।এর স্পষ্ট উল্লেখ প্রতিসর্গ পর্বের দ্বিতীয়াংশে আছে।সুতরাং ভাগবতের রচয়িতা পূর্ব থেকেই বেদব্যাস, বোপদেব নন।
মুছুনঈশ্বর নিরাকার নয়, তো নিরাকারের উপাসনা কেন করব? লিংকের পোস্টগুলো পড়ে আসুন-
উত্তরমুছুন১। https://vaishnavaism.blogspot.com/2018/03/beholding-God-by-vedic-seers.html
২। http://vaishnavaism.blogspot.com/2018/01/God-is-not-formless.html?m=1
৩। https://vaishnavaism.blogspot.com/2018/02/Godform-yajurvedabySatyaPrakash.html
সঠিক, এগিয়ে যান পাশে আছি।
উত্তরমুছুনসঠিক, এগিয়ে যান পাশে আছি।
উত্তরমুছুনকৃষ্ণের তথাকথিত লীলা গুলো আপনারা খারাপ দৃষ্টিতে দেখছেন। এর প্রকৃত উত্তর" লীলা পুরোষত্তম শ্রীকৃষ্ণ " গ্রন্থে আছে৷ গীতায় বর্ণিত আছে, ভগবান অর্জুনকে বলছেন সত্ব, রজ ও তম এই ৩ টি গুণ আমার থেকে উদ্ভূত, কিন্তু আমি উক্ত গুণসমূহের দ্বারা প্রভাবিত নয়, এিগুণাতীত। আবার ৩য় অধ্যায়ে আছে, রজো গুণের সংস্পর্শে কামের উতপত্তি হয়৷ তাহলে কৃষ্ণের সাথে রাধা বা গোপীদের রাসলীলাকে আপনারা কামলীলা বা যৌনলীলা বলে মনে করছেন। আমরা জানি রজো গুণ থেকে কাম উতপন্ন হয়। আর ভগবান রজোগুণের দ্বারা প্রভাবিত নয়, তাহলে ভগবানের মধ্যে কামের উদয় কিভাবে সম্ভব। ভাগবতে লেখা আছ,, কৃষ্ণ গোপীদের স্তন ও যোনী স্পর্শ করলো, আবার ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে লেখা আছে কৃষ্ণ রাধাকে চুম্বন করলে,, রাধাকে আলিঙ্গন করলে।। রাধার সাথে রমন করলেন তাইতো??
উত্তরমুছুনযেখানে ভগবান কামের দ্বারাই প্রভাবিত নন, সেখানে তিনি চুম্বন, আলিঙ্গন, যোনী স্পর্শ, স্তন স্পর্শ যাই করুক না কেন তিনি তো এর মাধ্যমে নিজের যৌন আক্ঙাক্খা পূরণ করেন নি৷ যে ভাগবত থেকে আপনারা রেফারেন্স দিচ্ছেন সেই ভাগবতেই লেখা আছে, গোপীরা কৃষ্ণের সৌন্দর্য দর্শন করে কামের দ্বারা মোহিত হন৷ তাই, তারা কৃষ্ণকে তাদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানালেন৷ কিন্ত,, কৃষ্ণ তো প্রেম প্রদান করেন কাম না। তিনি যখন গোপীদের স্তন, যোনী স্পর্শ করলেন তখন তাদের কাম সাথে সাথেই দূরীভুত হয়ে শুদ্ধ প্রেম উতপন্ন হল।। আসলে গোপীরা মনে করেছিলো কৃষ্ণ আমাদের কামবাসনা দূর করবেন৷ কিন্তু,কৃষ্ণ তো কামবাসনা না প্রেমবাসনার সূচনা করেন।
তাই, আমরাই বিকৃতমস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষেরা কৃষ্ণকে আর ১০ টা সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করছি। নিজের মতো করে কৃষ্ণকে ভাবছি। একটা কথা আছে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ৷ যার মানে হলো, যে যেরকম লোক তার চিন্তাভাবনাও সেরকম৷ তাই, আমরা নারীদের শরীর দর্শন করে যেহেতু কামের দ্বারা প্রভাবিত হই,তাই আমাদের চিন্তাচেতনাও সেরকম। সুতরাং, আমরা ভাবছি যে কৃষ্ণ গোপীদের শরীর স্পর্শ করেছিলো তাই সেও কামের দ্বারা প্রভাবিত ছিলো।
কৃষ্ণের তথাকথিত লীলা গুলো আপনারা খারাপ দৃষ্টিতে দেখছেন। এর প্রকৃত উত্তর" লীলা পুরোষত্তম শ্রীকৃষ্ণ " গ্রন্থে আছে৷ গীতায় বর্ণিত আছে, ভগবান অর্জুনকে বলছেন সত্ব, রজ ও তম এই ৩ টি গুণ আমার থেকে উদ্ভূত, কিন্তু আমি উক্ত গুণসমূহের দ্বারা প্রভাবিত নয়, এিগুণাতীত। আবার ৩য় অধ্যায়ে আছে, রজো গুণের সংস্পর্শে কামের উতপত্তি হয়৷ তাহলে কৃষ্ণের সাথে রাধা বা গোপীদের রাসলীলাকে আপনারা কামলীলা বা যৌনলীলা বলে মনে করছেন। আমরা জানি রজো গুণ থেকে কাম উতপন্ন হয়। আর ভগবান রজোগুণের দ্বারা প্রভাবিত নয়, তাহলে ভগবানের মধ্যে কামের উদয় কিভাবে সম্ভব। ভাগবতে লেখা আছ,, কৃষ্ণ গোপীদের স্তন ও যোনী স্পর্শ করলো, আবার ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে লেখা আছে কৃষ্ণ রাধাকে চুম্বন করলে,, রাধাকে আলিঙ্গন করলে।। রাধার সাথে রমন করলেন তাইতো??
উত্তরমুছুনযেখানে ভগবান কামের দ্বারাই প্রভাবিত নন, সেখানে তিনি চুম্বন, আলিঙ্গন, যোনী স্পর্শ, স্তন স্পর্শ যাই করুক না কেন তিনি তো এর মাধ্যমে নিজের যৌন আক্ঙাক্খা পূরণ করেন নি৷ যে ভাগবত থেকে আপনারা রেফারেন্স দিচ্ছেন সেই ভাগবতেই লেখা আছে, গোপীরা কৃষ্ণের সৌন্দর্য দর্শন করে কামের দ্বারা মোহিত হন৷ তাই, তারা কৃষ্ণকে তাদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানালেন৷ কিন্ত,, কৃষ্ণ তো প্রেম প্রদান করেন কাম না। তিনি যখন গোপীদের স্তন, যোনী স্পর্শ করলেন তখন তাদের কাম সাথে সাথেই দূরীভুত হয়ে শুদ্ধ প্রেম উতপন্ন হল।। আসলে গোপীরা মনে করেছিলো কৃষ্ণ আমাদের কামবাসনা দূর করবেন৷ কিন্তু,কৃষ্ণ তো কামবাসনা না প্রেমবাসনার সূচনা করেন।
তাই, আমরাই বিকৃতমস্তিষ্ক সম্পন্ন মানুষেরা কৃষ্ণকে আর ১০ টা সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করছি। নিজের মতো করে কৃষ্ণকে ভাবছি। একটা কথা আছে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ৷ যার মানে হলো, যে যেরকম লোক তার চিন্তাভাবনাও সেরকম৷ তাই, আমরা নারীদের শরীর দর্শন করে যেহেতু কামের দ্বারা প্রভাবিত হই,তাই আমাদের চিন্তাচেতনাও সেরকম। সুতরাং, আমরা ভাবছি যে কৃষ্ণ গোপীদের শরীর স্পর্শ করেছিলো তাই সেও কামের দ্বারা প্রভাবিত ছিলো।