বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

Isaavaasya Upanishat



Isaavaasya Upanishat is a book of English  translation of the original Sanskrit text of  the said Upanishat with its commentaries  by Sri Sankaraachaarya and Sri Madhvaachaarya. Compiled and Translated  by Ravindranath  Acharya.

[ Pdf Download Link: ( Click here! ) ]


বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

আর্যসমাজের বেদভাষ্য হতে ঈশ্বরের সাকারত্ব প্রতিপাদন









YAJUR VEDA
English Translation by
Swami Satya Prakash Saraswati
and Udaya Vir Viraj

DAV Publication Division
       (Veda Pratisthan)
Arya Samaj Building, UP Block,
Pitampura, Delhi- 110034
(এই বেদভাষ্য হতে ঈশ্বরের সাকারত্ব প্রমাণ করা যাইতেছে, পাঠকের সুবিধার্থে বাংলায় অনুবাদ করিয়া দেওয়া হইল—)


♦ যা তে রুদ্র শিবা তনূরঘোরাহ’পাপকাশিনী ৷
তয়া নস্তনুবা শন্তময়া গিরিশন্তাভিচাকশীহি ৷৷
— “হে ভীষণমূর্তি ভগবান, তোমার যে  মঙ্গলময়, অভীতিপ্রদ শরীর যা দেখতে আনন্দদায়ক, হে গিরিশন্ত, সেই সর্বমনোরম রুপে কৃপালু হয়ে আমাদের দিকে তাকাও ৷” (যজুর্বেদ ১৬/২)

টীকাঃ ‘তনূ’= শরীর, রুপ ৷ ‘শিবা’= মঙ্গলময় ৷
ঈশ্বরের দুটি রুপ আছে, একটি অত্যন্ত ভীতিজনক, অন্যটি প্রসন্ন ও মঙ্গলজনক ৷
‘অঘোরা’= যা ভীতিপ্রদ নয়, প্রসন্ন, সৌম্য ৷
‘অপাপকাশিনী’= যা দেখতে আনন্দদায়ক ৷ যা দেখতে ভালো লাগে না—‘পাপকাশিনী’ এর বিপরীত ৷
‘গিরিশন্ত’= যিনি গিরি তথা পর্বতে শয়ন, ভ্রমন করেন ও উহাকে জানেন ৷
‘শন্তময়া’= সর্বাপেক্ষা মনোরম ৷
‘অভিচাকশীহি’= দেখা, তাকানো, আমাদের দিকে তাকাও ৷ অপিচ, আমাদের সম্মুখে আবির্ভূত হও যাতে আমরা তোমাকে দেখতে পারি ৷



♦শ্রুধি শ্রুৎকর্ণ বহ্নিভির্দেবৈরগ্নে সয়াবভিঃ ৷
আ সীদন্তু বর্হির্ষি মিত্রো অর্যমা প্রাতর্যাবাণো অধ্বরম্ ৷৷
—“হে পূজনীয় ঈশ্বর, অনুগ্রহপূর্বক তুমি তোমার দিব্য কর্ণ দ্বারা আমার প্রার্থনাসমূহ শ্রবণ করো..”৷ (যজুর্বেদ ৩৩/১৫)

টীকাঃ ‘শ্রুৎকর্ণ’= যাঁর কর্ণ ভক্তের প্রার্থনা শুনতে পায় ৷


♦ দৃতে দৃংহ মা ৷ জ্যোক্তে সন্দৃসি জীব্যাসং
জ্যোক্তে সন্দৃসি জীব্যাসম্ ৷৷ (যজুর্বেদ ৩৬/১৯)
— “হে শক্তিমান ভগবান, তুমি দুঃখ-বিপর্যয়ে আমাকে অবিচলিত করো ৷ আমি যেন দীর্ঘজীবী হই, তোমাকে দর্শন করে ৷ তোমার সন্দর্শনে আমি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকব ৷”


সমগ্র বেদ সংহিতাতে ঈশ্বররের আকারত্বের এইরুপ বহু প্রমাণ আছে, কিন্তু নিরাকারবাদীদের প্রমাণ মাত্র একটি, তা হচ্ছে যজুর্বেদের ৪০তম অধ্যায়ের ৮নং মন্ত্রটি ৷ এছাড়া বেদের সংহিতাভাগে এমন কোন মন্ত্র নাই যে তা দ্বারা ঈশ্বর নিরাকার এইরুপ দাবি করা যায় ৷

বৈষ্ণবাচার্যগণ সিদ্ধান্ত করেন যে, ভগবানের প্রাকৃত শরীর (physical form) নাই [যজুর্বেদ ৪০/৮], কিন্তু অপ্রাকৃত দিব্য শরীর (divine form) আছে ৷ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, স্বামী সত্য প্রকাশ সরস্বতী কৃত যজুর্বেদ ভাষ্যে স্পষ্টত সেই সিদ্ধান্তই সমর্থিত হয়েছে ৷
………………………………………………………………………………
এইরুপে আর্যসমাজীগণ কৃত বেদভাষ্যেও ঈশ্বরের আকারত্ব প্রমাণিত হইল ৷ এক্ষণে আর্যসমাজী বালকগুলো কি করিবে? আর্যসমাজের মুখে ঝাটা মেরে আর্যসমাজ হতে প্রকাশিত বেদভাষ্যকে ভুল বলিবে???

আরো পড়ুন- ঈশ্বর কি নিরাকার?


সাম্প্রতিক পোস্ট

পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা

 পুরুষ—কৃষ্ণ ৷৷ প্রকৃতি—রাধা ======================= যোগেনাত্মা সৃষ্টিবিধৌ দ্বিধারূপো বভূব সঃ ৷ পুমাংশ্চ দক্ষিণার্ধাঙ্গো বামাঙ্গঃ প্রকৃতিঃস্...

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ