YAJUR VEDA
English Translation by
Swami Satya Prakash Saraswati
and Udaya Vir Viraj
DAV Publication Division
(Veda Pratisthan)
Arya Samaj Building, UP Block,
Pitampura, Delhi- 110034
(এই বেদভাষ্য হতে ঈশ্বরের সাকারত্ব প্রমাণ করা যাইতেছে, পাঠকের সুবিধার্থে বাংলায় অনুবাদ করিয়া দেওয়া হইল—)
♦ যা তে রুদ্র শিবা তনূরঘোরাহ’পাপকাশিনী ৷
তয়া নস্তনুবা শন্তময়া গিরিশন্তাভিচাকশীহি ৷৷
— “হে ভীষণমূর্তি ভগবান, তোমার যে মঙ্গলময়, অভীতিপ্রদ শরীর যা দেখতে আনন্দদায়ক, হে গিরিশন্ত, সেই সর্বমনোরম রুপে কৃপালু হয়ে আমাদের দিকে তাকাও ৷” (যজুর্বেদ ১৬/২)
টীকাঃ ‘তনূ’= শরীর, রুপ ৷ ‘শিবা’= মঙ্গলময় ৷
ঈশ্বরের দুটি রুপ আছে, একটি অত্যন্ত ভীতিজনক, অন্যটি প্রসন্ন ও মঙ্গলজনক ৷
‘অঘোরা’= যা ভীতিপ্রদ নয়, প্রসন্ন, সৌম্য ৷
‘অপাপকাশিনী’= যা দেখতে আনন্দদায়ক ৷ যা দেখতে ভালো লাগে না—‘পাপকাশিনী’ এর বিপরীত ৷
‘গিরিশন্ত’= যিনি গিরি তথা পর্বতে শয়ন, ভ্রমন করেন ও উহাকে জানেন ৷
‘শন্তময়া’= সর্বাপেক্ষা মনোরম ৷
‘অভিচাকশীহি’= দেখা, তাকানো, আমাদের দিকে তাকাও ৷ অপিচ, আমাদের সম্মুখে আবির্ভূত হও যাতে আমরা তোমাকে দেখতে পারি ৷
♦শ্রুধি শ্রুৎকর্ণ বহ্নিভির্দেবৈরগ্নে সয়াবভিঃ ৷
আ সীদন্তু বর্হির্ষি মিত্রো অর্যমা প্রাতর্যাবাণো অধ্বরম্ ৷৷
—“হে পূজনীয় ঈশ্বর, অনুগ্রহপূর্বক তুমি তোমার দিব্য কর্ণ দ্বারা আমার প্রার্থনাসমূহ শ্রবণ করো..”৷ (যজুর্বেদ ৩৩/১৫)
টীকাঃ ‘শ্রুৎকর্ণ’= যাঁর কর্ণ ভক্তের প্রার্থনা শুনতে পায় ৷
♦ দৃতে দৃংহ মা ৷ জ্যোক্তে সন্দৃসি জীব্যাসং
জ্যোক্তে সন্দৃসি জীব্যাসম্ ৷৷ (যজুর্বেদ ৩৬/১৯)
— “হে শক্তিমান ভগবান, তুমি দুঃখ-বিপর্যয়ে আমাকে অবিচলিত করো ৷ আমি যেন দীর্ঘজীবী হই, তোমাকে দর্শন করে ৷ তোমার সন্দর্শনে আমি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকব ৷”
সমগ্র বেদ সংহিতাতে ঈশ্বররের আকারত্বের এইরুপ বহু প্রমাণ আছে, কিন্তু নিরাকারবাদীদের প্রমাণ মাত্র একটি, তা হচ্ছে যজুর্বেদের ৪০তম অধ্যায়ের ৮নং মন্ত্রটি ৷ এছাড়া বেদের সংহিতাভাগে এমন কোন মন্ত্র নাই যে তা দ্বারা ঈশ্বর নিরাকার এইরুপ দাবি করা যায় ৷
বৈষ্ণবাচার্যগণ সিদ্ধান্ত করেন যে, ভগবানের প্রাকৃত শরীর (physical form) নাই [যজুর্বেদ ৪০/৮], কিন্তু অপ্রাকৃত দিব্য শরীর (divine form) আছে ৷ পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, স্বামী সত্য প্রকাশ সরস্বতী কৃত যজুর্বেদ ভাষ্যে স্পষ্টত সেই সিদ্ধান্তই সমর্থিত হয়েছে ৷
………………………………………………………………………………
এইরুপে আর্যসমাজীগণ কৃত বেদভাষ্যেও ঈশ্বরের আকারত্ব প্রমাণিত হইল ৷ এক্ষণে আর্যসমাজী বালকগুলো কি করিবে? আর্যসমাজের মুখে ঝাটা মেরে আর্যসমাজ হতে প্রকাশিত বেদভাষ্যকে ভুল বলিবে???
আরো পড়ুন-
ঈশ্বর কি নিরাকার?